আজ রবিবার, ১৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আড়াইহাজারে শিশু হত্যাকারী ঘাতক মামা গ্রেফতার

রফিকুল ইসলাম রানা, আড়াইহাজার প্রতিনিধি:-
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে সম্পত্তির লোভে আপন ভাগ্নি সাফিয়া আক্তার (৮) কে পানিতে চুবিয়ে হত্যাকারী ঘাতক মামা জুয়েল মিয়া (৩৪) কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে তার পরিবারের লোকজন। হত্যাকান্ডের ৬ দিন পর সোমবার দুপুরে রূপগঞ্জের গাউছিয়া এলাকায় তাকে আটক করার পর সেখান থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ হক জানান, নিহত সাফিয়া আক্তারে মাতা সুমি অক্তারের স্বামী শাহিন তাকে প্রায় ৬ বছর আগে সন্তান সাফিয়াকে সহ পিত্রালয় আড়াইহাজার উপজেলার মনোহরদী ( শিলপাড়া) গ্রামে ফেলে রেখে চলে গেলে এরপর থেকে সুমি তার একমাত্র শিশু কন্যা সাফিয়াকে নিয়ে পিতার বাড়িতে থাকা শুরু করে। সেখানে তার ভাই জুয়েলের সাথে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বছর খানেক ধরে বোন সুমির বৈরি সম্পর্ক তৈরি হয়।

গত ২৮ নভেম্বর সুমি তার কর্মস্থল গার্মেন্টস এ চলে গেলে ওই দিন দুপুরে ভাগ্নি সাফিয়াকে গোসল করিয়ে দেয়ার কথা বলে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের কাছে নিয়ে যায় মামা জুয়েল। সেখানে সাফিয়ার মুখে গামছা পেচিয়ে পানিয়ে চুবিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে এবং তার মরদেহ নদের কচুরিপানার নিচে রেখে চলে আসে সে। বৃহস্পতিবার সাফিয়া লাশ নদে ভেসে উঠলে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয় এবং পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত সায়িার লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করে। হত্যার ঘটনাটি নদের পাশে অবস্থিত ”ইমেজ” নামে একটি প্রিণ্ট কারখানায় লাগানো সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে ধরা পরে। ভিডিও ফুটেজ দেখে হত্যাকারী মামা জুয়েলকে সনাক্ত করে নিহত শিশুটির মা। পরে এ ব্যপারে গত বৃহ¯পতিবার নিহত শিশুর মা সুমি বেগম বাদী হয়ে ঘাতক মামা জুয়েলকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সুমির স্বজনরা কৌশলে জুয়েলকে রূপগঞ্জের গাউছিয়া এলাকায় এনে আটক করে রেখে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ওই এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। জুয়েলের পিতার নাম শহিদ মিয়া বলে পুলিশ জানায়।